মো. শাহজাহান মিয়া ::
সুনামগঞ্জে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫৪ হাজার ৮৫৪টি পশু। এগুলো ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন হাটে উঠতে শুরু করেছে।
রবিবার জগন্নাথপুর সদর বাজারে পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, তুলনামূলকভাবে দেশীয় গরুর আমদানি বেশি থাকলেও কাক্সিক্ষত বেচাকেনা হচ্ছে না। ওইদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাটে গরু নিয়ে আসেন খামারি ও গৃহস্থরা। রাণীগঞ্জ রোড থেকে পৌর পয়েন্ট হয়ে টিএন্ডটি রোড পর্যন্ত বসে পশুর হাট। হাটে সারিবদ্ধভাবে গরু সাজিয়ে রাখেন বিক্রেতারা।
দুপুরের দিকে বৃষ্টি কিছুটা থামলে হাটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। হাটে হেঁটে হেঁটে গরু পছন্দ করেন তারা। পছন্দ হলে শুরু হয় দামদর। দামে হলে বেচাকেনা হয়। তবে তুলনামূলকভাবে দাম কম থাকলেও কাক্সিক্ষত বিক্রি হচ্ছে না বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, ঈদের আরো ৫ দিন বাকি রয়েছে। তাই অনেক ক্রেতা এখনো গরু কিনতে চাচ্ছেন না। একদম শেষ সময়ে বেচাকেনা বাড়বে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ক্রেতাদের মধ্যে কয়েকজন জানান, এখনো ঈদের বেশ বাকি আছে। এখন গরু কিনে রাখারই জায়গা নেই। হাটে এসেছি শুধু দামদর জানার জন্য। দাম কম হলে এখন কিনবো, না হলে ঈদের একদিন আগে কিনবো।
হাট ইজারাদারের পক্ষে দিলবর হোসেন বলেন, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। গরু প্রতি মাত্র এক হাজার টাকা হাসিল নেয়া হচ্ছে। সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার মধ্যে প্রতিটি গরু বেচাকেনা হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে গরুর দাম আছে। হাটে গরুর আমদানির তুলনায় কাক্সিক্ষত বেচাকেনা হয়নি। আশা করছি, হাটে বেচাকেনা বাড়বে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জ জেলায় এবার কোরবানি পশুর চাহিদা ৪৩ হাজার ৪২৪টি এবং প্রস্তুত আছে ৫৪ হাজার ৮৫৪টি। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৮২০টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৩৫১টি বলদ, ৮ হাজার ১৬টি গাভি, ৩৮৭টি মহিষ, ১১ হাজার ৩৬৩টি ছাগল, ৫ হাজার ৫৭টি ভেড়া ও ৮৬০টি অন্যান্য পশু রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলায় গত বছর চাহিদা ছিল ৫৪ হাজার ৩৬২টি এবং প্রস্তুত ছিল ৬২ হাজার ৬৮৮টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, প্রতি বছর সিলেট অঞ্চলে প্রায় চার লাখ গরু কোরবানি হয়। এবার চাহিদা কিছু কম হতে পারে। প্রাথমিক হিসাবে এই বছর সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭১ হাজার পাঁচশ। খামারিদের কাছে মজুত আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি। চাহিদা অনুযায়ী এবার সিলেটে কোরবানির পশুর সংকট দেখছেন না তিনি।
ডা. মারুফ হাসান বলেন, সিলেটে খামারিদের কাছে পর্যাপ্ত পশু আছে। এর পাশাপাশি অনেকেই কোরবানির সময় গৃহপালিত পশু বিক্রি করেন। কোরবানির হাটে প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু এনে বিক্রি করেন পাইকাররা। সবমিলিয়ে এবার চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া হাটে পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, হাটে বিক্রি স্থানীয় গৃহপালিত পশু এবং অন্যান্য জেলা থেকে পাইকারদের আনা বড় আকারের গরু ও ছাগল। সবমিলিয়ে এবার সিলেট অঞ্চলে সাড়ে তিন লাখের বেশি পশু কোরবানি হতে পারে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট
- আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৫ ১২:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০১:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ